ইলেকট্রনিক্স কাজের জন্য ইলেকট্রিকের যে জ্ঞানটা প্রথম লাগে তা হচ্ছে ও’মের সূত্র (Ohm’s Law) , যা সবাই মাধ্যমিকের পদার্থবিজ্ঞানে পরে থাকে। তা নিয়ে মনে হয় না আমার আলোচনা করতে হবে। তার পরেও যারা ও’মের সূত্র নিয়ে দ্বিধায় আছেন তারা উইকিপিডিয়ায় পাতায় ও’মের সুত্রটা আবার ঝালাই করে নিতে পারেন।
এছারাও আপনাকে জানতে হবে ক্যাপাসিটরের কাজ কি? বিভিন্ন সময় ক্যাপাসিটরের বিভিন্ন গুণ আমরা ব্যবহার করি, সেসব আমরা যে কাজ করার আগে থিওরিতে জানব।
আপনাকে জানতে হবে আমরা রেসিস্টর কেন ব্যবহার করি। আপনাকে জানতে হবে কেন আমরা সুইচ ব্যবহার করি।
আমি ধরে নিচ্ছি আপনারা এসব জিনিস জানেন।
এখন আসি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে, যেকোন রকম সার্কিট প্রেকটিকেলি তৈরি করতে হলে এই কনসেপ্ট টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ , আর তা হল নোড (Node) । নোড শব্দের সহজ বাংলা মানে হচ্ছে সংযোগস্থল । নোড বুঝতে নিচের ছবিটিতে তাকালে দেখতে পারবেন সার্কিটের লাইন তিন রঙের। একেকটা রং দিয়ে একেকটা নোড বুঝান হচ্ছে।
নোড হচ্ছে সার্কিটের মাঝে অবস্থিত যেকোন বিন্দু (বা লাইন) যেখানে দুই বা ততোধিক বর্তনীর উপাদান থাকে।
নোড সম্পর্কে আরও জানতে উইকিপিডিয়ার পাতায় ঘুরে আসতে পারেন।
উপরে যে সার্কিটের ছবি দেখালাম সার্কিট রিপ্রেসেন্টেসনের এই সিস্টেমকে স্কেমেটিক ডায়াগ্রাম (Schematic Diagram) বলে।