আজ হঠাৎ মনে হলো এখন কেন জানি সকল ইন্টারনেট ব্যাবহারকারিরা নিজেদের অনিরাপদ মনে করে। এর পেছনে অবশ্য কারণও আছে অনেক। আমি আজ এর কিছু কারণ নিয়ে আলোচনা করব।
আজ আমার আলোচনার প্রথম বিষয় হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ( social networking ) নিয়ে। Social networking এর নাম নিলে যে কথাটা সবার আগে মাথায় আসে তা হচ্ছে ফেসবুক (facebook)। ইন্টারনেট ব্যাবহার করে কিন্তু ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট নাই এরকম মানুষ পাওয়া দায়। ফেসবুক নিঃসন্দেহে আমাদের জীবনে এক বিরাট প্রভাব ফেলেছে, ফেসবুকের খাতিরে আমরা আমাদের অনেক পুরানো বন্ধু বান্ধবের সাথে, এমনকি অনেক আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারি। কিন্তু এটি যদি আমরা ঠিক মতো ব্যাবহার না করতে পারি, তা আমাদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাড়ায়।
ফেসবুকে এখন স্প্যাম (Spam) প্রোগ্রামের ছড়াছড়ি, এসব স্প্যাম প্রোগ্রাম আমাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুড়ি করে ফেলে এবং পরে তা বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে বিব্রত করার জন্য ব্যাবহার করে। তাই আমাদের উচিৎ এসব স্প্যাম প্রোগ্রাম হতে দূরে থাকার।
এ তো গেলো তথ্য চুরির বিষয় , এছাড়া আছে ছবি চুরির বিষয়, যা আমাদের মতো দেশে একটি বিরাট বিষয়। কিছু মানুষ ( যদিও আমার তাদেরকে মানুষ বলতে ঘৃণা হয়, তা ও ভদ্রতার খাতিরে মানুষ বললাম ) আছে যারা বিভিন্ন প্রোফাইল (profile ) থেকে ছবি চুড়ি করে নকল অ্যাকাউন্ট (fake account) তৈরি করে এবং আজে বাজে তথ্য দিয়ে ওই প্রোফাইল তৈরি করে। এমনকি বিভিন্ন আজে বাজে ছবিও পোস্ট করে।
এই সমস্যার শিকার ছেলে-মেয়ে উভয়ই পরে, কিন্তু এর প্রতিক্রিয়া (effect) মেয়েদের বেলায় বেশি হয়। এর মূল কারণ আমাদের সামাজিক অবস্তা, যেখানে একটি সমান অপরাধের জন্য ছেলেদের থেকে মেয়েদের বেশি দোষী ভাবা হয়, হোক না মেয়ে যতই নির্দোষ। তাই এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ।
উপরে আমি যে সমস্যার কথা আলোচনা করেছি তার সমাধান কিন্তু অতি সরল। স্প্যাম প্রোগ্রামের বিষয়টিতে একটু বুঝে শুনে অ্যাপ্লিকেশান (application) ব্যাবহার করলেই সমাধান হয়ে যায়। আর ছবি চুরি বিষয়ে বলতে যদি চাই তাহলে বলতে হয় সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি আগেই বলেছি ছেলেদের বেলা সচেতনতা একটু কম নিলেও হয়, কিন্তু মেয়েদের বেলা সচেতনতা বেশি জরুরি। আমি মনে করি মেয়েরা তাদের ছবি পোস্ট না করলেই ভালো, এটি সবচেয়ে কার্যকরী (effective) পদ্ধতি। আর যদি কখনও ছবি পোস্ট করার দরকার হয় তবে অবশ্যই privacy setting টা অবশ্যই ঠিক করে নিতে হবে, যাতে যে কেও সেই ছবিগুলা না দেখতে পারে। privacy setting শুধু ছবিতে না দিয়ে পুরো প্রোফাইলএ দেয়া যায়, সেটিও বেশ ভালো হয়।
আশা করি আমার আজকের পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। আশা করি এই বিষয়ে আরও আলোচনা ভবিষ্যতে করতে পারব।
সবার সাইবের (Cyber) যাত্রা নিরাপদ হোক।
though the post is not so closely related with cyber security, i wold say it is just the begining. More will come later.