ইলেকট্রনিক্স : শুরু করতে যা লাগবে

From left to right Multimeter, Scissor, Cutter, Soldering Iron with stand and tip cleaner, And soldering lead at top

ইলেকট্রনিক্স শুরু করতে হলে আপনাদের যা লাগবে তা হল ইলেকট্রিক সম্পর্কে সামান্য কিছু জ্ঞান আর কিছু যন্ত্রপাতি । এবং সবচেয়ে বেশি যা লাগবে , তা হচ্ছে আপনার আগ্রহ।

 ইলেকট্রিক সম্পর্কে আপনার যা জ্ঞান লাগে তা মোটামোটি উচ্চ মাধ্যমিকের পদার্থবিজ্ঞানে পড়ানো হয়ে থাকে। আর বাড়তি যে ইলেকট্রিকের জ্ঞান লাগবে তা আমি চেষ্টা করবো আমার লেখাগুলোতে আলোচনা করার।

ইলেকট্রনিক্স কাজ করতে যেসকল যন্ত্রপাতি সবসময় লাগে তা আপনার নিজের থাকা মোটামোটি আবশ্যক, কেন না কাজ করার সময় সব যন্ত্রপাতি সাথে না থাকলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। আজকের পোস্টে আমি মূলত যন্ত্রপাতি বিষয়ে আলোচনা করবো।

যন্ত্রপাতির মধ্যে প্রথমেই লাগবে একটা মাল্টিমিটার (Multimeter) । মাল্টিমিটারের কাজ মূলত সার্কিটে ভোল্টেজ কারেন্ট মাপা। তাছাড়াও রেসিস্টরের মান, ক্যাপাসিটরের মান বের করতেও মাল্টিমিটারের প্রয়োজন হয়।

মাল্টিমিটার মূলত দুই ধরনের, এনালগ এবং ডিজিটাল। বাজারে দুই রকমেরই অনেক ধরনের মাল্টিমিটার পাওয়া যায়। এখন মূল প্রশ্ন থাকে কোনটি ব্যবাহার করবেন? নতুনদের জন্য ডিজিটাল মাল্টিমিটার অনেক ভালো , যদিও ভালো ডিজিটাল মাল্টিমিটারের দাম একটু বেশি । বাজারে ৭০০ – ৮০০ টাকার মধ্যে মোটামোটি মানের ডিজিটাল মাল্টিমিটার পাওয়া যায়। নতুনদের জন্য এটি ভালো।

যন্ত্রপাতির মধ্যে এরপরে যে জিনিষটা সবসময় লাগবে তা হচ্ছে ব্রেডবোর্ড বা প্রোজেক্টবোর্ড। এটি মূলত সার্কিট পরীক্ষা করার জন্য লাগবে। ব্রেডবোর্ডে আমরা আমাদের থিওরিটিকেল সার্কিটকে বানিয়ে টেস্ট করে দেখব তা কাজ করে কি না । ব্রেডবোর্ডের মূল সুবিধা হচ্ছে এতে সার্কিট বানানো তুলনামূলক সহজ এবং এটি অনেকদিন যাবত বার বার ব্যবহার করা যায়।

বাজারে ব্রেডবোর্ডও অনেক ধরনের আছে। আমি নিজে ২০০ টাকায় পাওয়া যায় এমন একটা ব্যবহার করি।  মোটামোটি সবাই এই ব্রেডবোর্ড ব্যবহার করে।

 ব্রেডবোর্ডের পরেই যে জিনিষটা লাগে তা হচ্ছে তার (Wire)। ব্রেডবোর্ডে সার্কিট বানানোর জন্য তার বাধ্যতামূলক। তার ছাড়া বিভিন্ন কম্পোনেন্ট ( সার্কিট কম্পোনেন্ট) এর কানেকশন দেওয়া সম্ভব না।

 ব্রেডবোর্ডে সার্কিট বানানোর জন্য বিশেষ ধরনের তার পাওয়া যায় যাকে বলা হয় ব্রেডবোর্ড ওয়াইর (Breadboard Wire) কিন্তু এর দাম মোটামোটি বেশি তাই সবাই কম্পিউটারের ল্যান এর তার ব্যবহার করে , যা ব্রেডবোর্ড ওয়াইর  এর মতই, কিন্তু দাম কম।

 এই তিনটি উল্লেখিত জিনিস ছারাও আরও জিনিস যেমন তার কাটার প্লাইয়ার , স্ক্রু ড্রাইভার , চিমটা ইত্যাদি ইত্যাদি জিনিস লাগবে ইলেকট্রনিক্সের কাজ শুরু করতে। ইলেকট্রনিক্সের কাজ যখন আরও বেশি বেশি করা শুরু করবেন তখন দেখবেন আরও অনেক যন্ত্রপাতি লাগতেছে , সেসব বিষয় নিয়ে এখন চিন্তা ভাবনা করার কোন প্রয়োজন নাই। সময়ের  জিনিস নিয়ে সময় আসলেই ভাবা যাবে।

 যেহেতু ব্রেডবোর্ডে সার্কিট শুধু মাত্র পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করি, যদি আমরা সার্কিটটা দীর্ঘ দিনের জন্য রাখতে চাই আমাদের অবশ্যই সার্কিটটা স্থায়ী করতে হবে। সে জন্য আমাদের প্রয়োজন হবে ভেড়ো বোর্ডের (Vero Board/ strip board). ভেড়ো বোর্ডের দাম মুটামুটি  কম। বাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় ভেড়ো বোর্ড পাওয়া যায়। তবে ভেড়ো বোর্ডে কাজ করতে হলে আরও কয়েকটা জিনিষ লাগবে। প্রথমে যে জিনিষটা লাগবে টা হলো তাতাল (Soldering Iron), রাঙ্গ (Soldering lead), রজিন (Soldering Paste).

নিচে কিছু সরঞ্জামাদির ছবি দিয়ে দিলাম।

 

 

আজকে এত টুকুই লেখলাম আগামি পর্বে আশা করি ইলেকট্রিকের যা যা জ্ঞান লাগবে তা নিয়ে লিখতে পারব।

1 Comment

  1. Pingback: Derrick

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *